রায়া:ভারতবর্ষে ৪৪% বিদ্যদলয়ে শৌচালয় না থাকায় বহু মেয়ে মাঝপথে পড়াশোনা থামিয়ে দেয়।এছাড়া ঋতুস্রাব নিয়ে নানাবিধ কুসংস্কার তো আছেই।
ঈষিকা :এছাড়া দেখ শিক্ষার বুনিয়াদি যে উপাদান -বিল্ডিং, ল্যাব,শিক্ষক, মিড-ডে মিল তা বহুলাংশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না।
Slide: 2
রায়া: একদমই তাই। কোনো রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি তো কোনো রাজ্যে মিড-ডে মিল দুর্নীতি। আর এসবের ফাঁদে পড়ে সাধারণ গরীব মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঈষিকা:এছাড়া দেখ বর্তমান শিক্ষা যেভাবে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে কতজন সেই পরিষেবার আওতায় আসতে পারছে?
রায়া:আসতে পারছে না তো।কিছু কিছু শহরভিত্তিক স্কুলে সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলেমেয়েরাই কেবল করোনা-উত্তরকালে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনার আওতায় আসতে পারছে।
ঈষিকা:আনন্দবাজারের উত্তর সম্পাদকীয় বিভাগের একটি কলামে পড়লাম পুরুলিয়ার একটি ছেলে অনলাইন ক্লাস করতে চার কিলোমিটার হেঁটে শহরে আসতো।কারণ,ছেলেটির গ্রামে নেটওয়ার্ক ঠিক মতো কাজ করে না।
Slide: 3
রায়া:ভারতবর্ষের এই বিপুল শিক্ষা-বৈষম্যকে দূর করা না গেলে দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি অনেকটাই জটিল হয়ে পড়বে।যদিও সর্বশিক্ষা অভিযানের বেশ কিছু সুফলও পাওয়া গিয়েছে। 'বেটি বাঁচাও,বেটি পড়াও' প্রকল্পটিও সাধুবাদযোগ্য।